প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার গণতন্ত্রকে নিরাপদ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতন্ত্রক সুরক্ষা এবং দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, যাতে জনগণ ন্যায়বিচার পায়।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ১২ তলা ভবন ‘বিজয় একাত্তর’ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে নগরীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
বিচার বিভাগের সার্বিক উন্নয়নের জন্য তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্যাতিত নারী, শিশু এবং এসিড হামলার শিকারসহ সকলে যাতে সুবিচার পায় আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ করেছে এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগকে আরও শক্তিশালী করতে এবং সংবিধানের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী সরকারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেওয়ার জন্য বিচারপতিদের সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, এই রায়ে বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের নবনির্মিত ১২ তলা ভবনের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দীন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং বিশিষ্ট আইনজীবীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।